কষা মাংস

কষা মাংস

এই মাংসে মশলা তেল ইত্যাদি একটু বেশি দিতে হয়। মাংস এক কিলো, পেঁয়াজ ৩০০ গ্রাম, আদা, হলুদ, লঙ্কা আন্দাজ মতো, ভিনিগার, দই, টমাটো ইত্যাদির যে কোনো একটা (অর্থাৎ একটা কিছু টক জাতীয়)। এক কিলো মাংসে ১০০ গ্রাম দই। রসুন একটা, তেজপাতা দু-তিনটে, তেল ২৫০ গ্রাম, নুন, চিনি ইচ্ছে মতো। গরম মশলা ১/২ চা চামচ। আলু দিতে চাইলে আলু আট দশ টুকরো।

 

প্রণালী – আলু যদি দিতে চান তাহলে আলু প্রথমে ভালভাবে ভেজে তুলে রাখুন। আদা, পেঁয়াজ, রসুন বাটা ও হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো, দই অথবা অন্য যে কোনো টক (দই দিলে ভাল হয়) সব দিয়ে মাংস মেখে রাখুন।

যদি মুরগি হয় তাহলে কুকার লাগে না। পাঁঠার মাংস হলে কুকারে তেল চড়ান। তেজপাতা দিয়ে মশলা মাখা মাংস ছাড়ুন। এক্ষেত্রেও চিনি আদা আগে ভাজতে পারেন রং এর জন্য। কেউ কেউ পরে আদা বাটা দেয়, যেগুলো রান্নার রকমফের বলতে পারেন। এই সবের জন্যেই এক একজনের রান্না আলাদা ভাল হয়। যাইহোক, এবার মাংস কষতে হবে। যদি পেঁয়াজ বাটা না দেন তাহলে আগে তেলে পেঁয়াজ ভেজে নিন। তারপরে মশলা মাখা মাংস ছেড়ে কষুন। যদি মুরগি হয় তাহলে আলু, নুন দিয়ে কষতে থাকুন। ধীরে ধীরে মাংসে অনেক জল বেরিয়ে যায় তাতেই মাংস সিদ্ধ হয়ে যায়। সিম আঁচে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। জল শুকোতে শুকোতে মাংসও সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। সিদ্ধ না হলে প্রয়োজন মতো জল আলাদা ফুটিয়ে ওতে দেবেন। ঠাণ্ডা জল দেবেন না। মাংস ভাল হলে জল লাগে না। কষা হলে নুন, চিনি, গরম মশলা দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নামান। এই রান্না শুকনো শুকনো হবে।

 

যদি পাঁঠার মাংস হয় তাহলে কুকারে রান্না করা ভাল। কুকারে মশলা মাখা মাংস ছাড়ার পর নুন দিয়ে কুকার বন্ধ করুন। মিনিট দশ বারো স্টিমে রেখে কুকার নামান। এরপর কুকার খুললে আবার গ্যাসে চড়ান। ভাজা আলু ছাড়ুন। নাড়তে নাড়তে শুকনো করুন। মাংসের জল শুকোবার সময়ের মধ্যে আলু সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। এবার চাইলে অল্প চিনি দিন।

 

নামানোর আগে গরম মশলা দিন।