পালং শাকের ঘণ্ট

পালং শাকের ঘণ্ট

পালং শাকের পাতা আলাদা করে নিতে হবে। গোড়া বা মোটা ডাঁটা দেবেন না। এখন পাতাটা মাপ যদি ৫০০ গ্রাম হয় তাতে ১টা ছোট মুলো, দুটো আলু, একটা ছোট বেগুন, কয়েকটা সিম ও বিন, প্রায় আলু কাটলে যতটা পরিমাণ সেই পরিমাণ দিলেই হবে। এছাড়া আধখানা নারকেল মালা কুরে রাখুন, নুনচিনি পরিমাণ মতো, ধনে আর জিরে সমান পরিমাণে মিশিয়ে সেটা বেটে ১ চা চামচ বাটা, অল্প লঙ্কা বাটা, ১ টেবিল চামচ সরষের তেল, ১ চা চামচ ঘি বা মাখন ও ১ চা চামচ ময়দা।

ফোড়নের জন্যে অল্প জিরে, ২টা তেজপাতা হাতের কাছে রাখুন। ১০/১২টা বড়ি লাগবে।

প্রণালী – শাক ও আনাজ ছোট ছোট কেটে ভাল করে ধুয়ে রাখুন। কড়ায় সরষের তেল দিয়ে গরম হলে ফোড়নের জন্যে যে জিরে ও তেজপাতা রাখা আছে তা কড়ায় ছেড়ে দিন এবং ভাজা হয়ে গেলে প্রথমে খুব সরু সরু করে কোটা মুলোটা ছেড়ে দিন। একটু ভাজা হয়ে গেলে বেগুন ও শাক বাদে অন্যান্য যা আনাজ আছে তা ছেড়ে দিন। এই সময় পরিমাণ মতো নুন দিয়ে খুন্তি দিয়ে নেড়ে নেড়ে ভাজতে হবে। অল্প ভাজা ভাজা হলে ধনে ও জিরে বাটা, লঙ্কা বাটা দিয়ে দিয়ে নাড়তে থাকুন যাতে মশলাটা সব তরকারির গায়ে লেগে যায়। এরপর বেগুনটা ছাড়ুন এবং আবার কিছুটা নাড়াচাড়া করে পালং শাকটা ছেড়ে দিয়ে কড়াটা যে কোনো থালা দিয়ে চাপা দিয়ে দিন। এইভাবে চাপা দিলে আনাজে যে পরিমাণ জল থাকে তা বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে না এবং যে বাষ্পটা হয় তার একটা চাপ হয় তাতে আনাজটা তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়ে যায়। থালা চাপা দেওয়ার পর কিছুক্ষণ সিদ্ধ হতে সময় দিন। সিদ্ধ হয়ে গেলে থালাটা তুলে নিয়ে চা চামচের ৩ চামচের মতো চিনি দিন এবং ভালো করে নেড়ে নামিয়ে রাখুন অন্য পাত্রে।

এরপর কড়াটা ভালো করে ধুয়ে কড়াটা উনুনে চাপিয়ে গরম করে নিন যাতে ভেতরে কোনো জল না থাকে। এরপর কড়ায় ঘি দিয়ে দিন। ঘি গরম হয়ে গেলে ময়দাটা ছেড়ে লাল করে ভেজে নিন। এরপরই পুরো সিদ্ধ করা আনাজ এতে ছেড়ে দিয়ে নাড়তে থাকুন। বেশ মাখা মাখা হয়ে গেলে নারকেল কোরা মিশিয়ে দিয়ে নামিয়ে রাখুন।

এরপর কড়ায় তেল দিয়ে বড়িটা ভেজে এবং ভাজা হয়ে গেলে অন্য পাত্রে ভেঙে ছোট ছোট করে রাখুন এবং পরিবেশনের সময় এই ছোট ছোট বড়ি ওপরে ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।