ঢ্যাঁড়স চচ্চড়ি

ঢ্যাঁড়স চচ্চড়ি

এটা শুধু ঢ্যাঁড়স দিয়ে হয় আবার আলু আর ঢ্যাঁড়স মিশিয়েও করা হয়। শুধু ঢ্যাঁড়স অথবা আলু ঢ্যাঁড়স হলে সমান মাপের আলু ও ঢ্যাঁড়স নিতে হবে। ঢ্যাঁড়স সব সময় বড় হলে তিন ভাগে বাঁকা বাঁকা করে কেটে নিতে হবে ছোট হলে ২ ভাগে বাঁকা করে কাটতে হবে। আলু দিলে আলু পাতলা পাতলা করে কেটে নিতে হবে।

মশলা:- হলুদ, নুন, রুচি মতো চিনি, অল্প সরষে বাটা, পোস্ত বাটা। যদি ঢ্যাঁড়স ২৫০ গ্রাম থাকে তা হলে পোস্ত বাটা প্রায় ১ টেবিল চামচ আর ১/২ চা চামচ সরষে বাটা, ১/২ চা চামচ পাঁচ ফোড়ন। এ ছাড়া অল্প শুকনো লঙ্কা বাটা অথবা গুঁড়ো ও সরর্ষের তেল ১ টেবিল চামচ লাগে।

রান্নার প্রণালী:- কড়ায় তেল দিয়ে উনুনে চাপিয়ে তেল গরম হলে পাঁচফোড়ন কড়ায় দিয়ে ভেজে নিয়ে ঢ্যাঁড়স কড়ায় দিন। যদি আলু ঢ্যাঁড়স মিশিয়ে করেন তো তা হলে প্রথমে আলু ও পরে ঢ্যাঁড়স ছাড়বেন। কারণ আলু ঢ্যাঁড়স একসঙ্গে ছাড়লে আলু সিদ্ধ হওয়ার আগে ঢ্যাঁড়স বেশি সিদ্ধ হয়ে গিয়ে ঘেঁটে যেতে পারে। তাই আলু আগে ছেড়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করার পর ঢ্যাঁড়স ছাড়তে হবে। এই সময় নুন দিতে হবে। এর পর নাড়া চাড়া করতে করতে যখন ভাজা ভাজা হয়ে যাবে তখন লঙ্কা দিয়ে ভাল করে কষে নিয়ে জল দিয়ে সিদ্ধ হতে দিন। এতে জল খুব কম লাগে। যদি আলু সিদ্ধ হতে দেরি হয় তো মাঝে কিছুটা জল দিয়ে দেবেন। আনাজ সিদ্ধ হয়ে গেলে যদি দরকার মনে করেন অল্প চিনি দেবেন। কেউ কেউ মিষ্টতা পছন্দ করেন কেউ কেউ করেন না সুতরাং মিষ্টি দেওয়ার আগে এটা খেয়াল রাখতে হবে। এরপর পোস্তবাটা ও সরষে বাটা দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করে পোস্তবাটা ও সরষে বাটা ভাল করে মিশিয়ে নিন তারপর নামিয়ে রাখুন। সরষে ও পোস্ত বাটা স্বাদ বাড়ায় তবে না দিয়েও রান্না করা চলে।