উপকরণ – ৫০০ গ্রাম পালং শাক, দুটো মাঝারি সাইজের আলু, কুমড়ো ১০০ গ্রাম, সিম ৬-৭টি ও কড়াইশুঁটি অল্প পরিমাণ।
শাক, আলু ও কুমড়ো লাগবেই তবে বাকি আনাজ না থাকলেও রান্না করা যায় না এমন নয়। অল্প বিস্তর এদিক ওদিক হলে ক্ষতি নেই। এরপর আসছে মশলা – সরষের তেলতেল রান্নার একটা অবশ্য প্রয়োজনীয় উপাদান। রান্নার তেল অনেক রকম হয় যেমন সরষের তেল, বাদাম তেল, সূর্যমুখীর তেল, সোয়াবিনের তেল, রাইসঅয়েল। সরষের তেল ছাড়া অন্য তেলগুলিতে রং বা গন্ধ বিশেষ থাকে না। তাই কোনো বিশেষ রান্না ছাড়া সব রান্নাতে সাদা তেলই ভাল। বর্তমানে স্বাস্থ্যের কারণে ঘি-এর বদলে এই সাদা তেলই ব্যবহার হচ্ছে। More ১ ১/২ টেবিল চামচ, হলুদহলুদ বাঙালির রান্নার একটি প্রধান মশলা। শরীরের পক্ষে খুবই উপকারি। রান্নার সময় হলুদ প্রথমের দিকেই দিতে হয়। প্রথমে দিতে ভুলে গিয়ে নামানোর আগে মনে পড়ে গেল আর তখনই একটু হলুদ দিয়ে দিলাম সেটা খুব মুশকিলের কারণ তখন সব রান্নাটাই খারাপ হয়ে যায়। More ১/২ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়নমেথি, মৌরি, কালোজিরা, সরষে, রাঁধুনি এই পাঁচ রকম মশলা মিশিয়ে পাঁচ ফোড়ন হয়। পাঁচ রকম মশলাই সমপরিমাণে মেশাতে হয়। এই মশলাগুলো কখনও কখনও আলাদাভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। More কম কম ১ চা চামচ, শুকনো লঙ্কা ১টা, ১ ১/২ চা চামচ সরষে বাটা নুনসব তরকারি রান্নাতেই নুন দেওয়া একান্তই দরকার। পরিমাণ মতো নুন রান্নার প্রথমের দিকেই দেওয়া উচিত, তাতে সমস্ত আনাজ তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়। More ও চিনিঅধিকাংশ তরকারিতে মিষ্টতা আনতে চিনি দিতে হয় কিন্তু যদি আনাজ পর্যাপ্ত পরিমাণে সিদ্ধ হওয়া আগে চিনি দিয়ে দেওয়া হয় তখন আনাজ আর সিদ্ধ হতে চায় না। সুতরাং এটা মনে রাখা দরকার তরকারিতে যদি মিষ্টতা আনার দরকার হয় তা হলে আনাজ সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পরই চিনি দিতে হয়। More রুচি অনুযায়ী এবং কাঁচা লঙ্কা ২-১ টা স্বাদ অনুযায়ী।
প্রণালী – খুব ভাল করে শাক ধুয়ে নিয়ে শাকের পাতা ও গোড়া আলাদা করে কাটুন। অন্যান্য আনাজ ছোট ছোট করে কাটুন।
এবার কড়া উনুনে বসিয়ে তেলতেল রান্নার একটা অবশ্য প্রয়োজনীয় উপাদান। রান্নার তেল অনেক রকম হয় যেমন সরষের তেল, বাদাম তেল, সূর্যমুখীর তেল, সোয়াবিনের তেল, রাইসঅয়েল। সরষের তেল ছাড়া অন্য তেলগুলিতে রং বা গন্ধ বিশেষ থাকে না। তাই কোনো বিশেষ রান্না ছাড়া সব রান্নাতে সাদা তেলই ভাল। বর্তমানে স্বাস্থ্যের কারণে ঘি-এর বদলে এই সাদা তেলই ব্যবহার হচ্ছে। More দিন এবং গরম হলে পাঁচফোড়নমেথি, মৌরি, কালোজিরা, সরষে, রাঁধুনি এই পাঁচ রকম মশলা মিশিয়ে পাঁচ ফোড়ন হয়। পাঁচ রকম মশলাই সমপরিমাণে মেশাতে হয়। এই মশলাগুলো কখনও কখনও আলাদাভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। More ও শুকনো লঙ্কা ছেড়ে ভেজে নিন এবং সঙ্গে সঙ্গে ছোট করে কাটা আলু ছেড়ে দিন। আলু অল্প ভাজা হলে শাক ছাড়া অন্যান্য আনাজ ছেড়ে দিন। এই সময় নুনসব তরকারি রান্নাতেই নুন দেওয়া একান্তই দরকার। পরিমাণ মতো নুন রান্নার প্রথমের দিকেই দেওয়া উচিত, তাতে সমস্ত আনাজ তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়। More আন্দাজ মতো দিয়ে দিন এবং কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন এবং হলুদহলুদ বাঙালির রান্নার একটি প্রধান মশলা। শরীরের পক্ষে খুবই উপকারি। রান্নার সময় হলুদ প্রথমের দিকেই দিতে হয়। প্রথমে দিতে ভুলে গিয়ে নামানোর আগে মনে পড়ে গেল আর তখনই একটু হলুদ দিয়ে দিলাম সেটা খুব মুশকিলের কারণ তখন সব রান্নাটাই খারাপ হয়ে যায়। More ও লঙ্কা ছেড়ে দিয়ে নাড়াচাড়া করেই শাকটা ছেড়ে দিন এবং কড়াই একটা থালা চাপা দিয়ে দিন। এতে সিদ্ধ হওয়ার জন্য আলাদা জল দিতে হয় না, শাক থেকে যা জল বেরোয় তাতেই বাকি আনাজ সিদ্ধ হয়ে যায়। অনেক সময় দেখা যায় যে জল শুকিয়ে এসেছে কিন্তু আলু সিদ্ধ হয়নি তখন প্রয়োজন মতো জল দিয়ে সিদ্ধ করবেন।
সিদ্ধ হয়ে গেলে সরষের বাটা দিয়ে এবং তার পর মিষ্টি দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে যাতে সবটা বেশ মিশে যায়। বড়ি যদি বাড়িতে থাকে কয়েকটা ভেজে রেখে দেবেন পরিবেশনের আগে গুঁড়ো করে ওপরে ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করলে ভাল লাগে।