চিংড়ি মাছের ঝোল

চিংড়ি মাছের ঝোল

ছোট অথবা বড় যে কোনো চিংড়ি মাছের ঝোলই ভাল হয়। চিংড়ি মাছের ঝোলে কাঁচা লঙ্কা আর সজনে ডাঁটা ভাল জমে না তাই ঐ দুটো আনাজ বাদ দেওয়াই ভাল।

উপকরণ – বড় বড় করে কোটা আলু, কপি অথবা পটল, পেঁপে, সিম অথবা বরবটি ইত্যাদি আনাজ ধুয়ে রাখুন। চিংড়ি মাছ কেটে খোলা ছাড়িয়ে পিঠের ওপরের শির ও মাথার ময়লা ফেলে ধুয়ে নুন মাখিয়ে রাখুন।

মশলাহলুদ, লঙ্কা, ধনে, জিরে বাটা (১/৪ চা চামচ সরষে, ১/৪ চা চামচ রাঁধুনি ও ১ চা চামচ পোস্ত) একসঙ্গে বেটে রাখুন। এছাড়া সরষের তেল, অল্প ঘি, পাঁচফোড়ন ও তেজপাতা নুন ও মিষ্টি।

রান্নার প্রণালী – মাছ প্রথমে ভেজে তারপর কপি অথবা পটল নুন দিয়ে ভেজে আলাদা আলাদা করে রাখুন। বাকি তেলে পাঁচফোড়ন ও তেজপাতা দিয়ে ভেজে নিয়ে আলু ছেড়ে ভেজে নিন। এই সময় নুন পরিমাণ মতো দিয়ে দেবেন। অল্প ভাজা ভাজা হলে অন্যান্য আনাজ দিয়ে ভাজতে থাকুন। সবটা অল্প ভাজা ভাজা হয়ে গেলে হলুদ, লঙ্কা, ধনে, জিরে বাটা দিয়ে ভাল করে কষে নিয়ে চিংড়ি আর কপি অথবা পটল ছেড়ে দিন। আরও কিছুক্ষণ কষে নিয়ে জল দিয়ে দিন। জল একটু বেশিই দেবেন, যাতে সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও ঝোল থাকে। সিদ্ধ হয়ে গেলে সরষে, পোস্ত, রাঁধুনি বাটা দিয়ে দিন এবং ঘি অথবা অল্প মাখন ও রুচি অনুযায়ী মিষ্টি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নামিয়ে রাখুন।

(রাঁধুনি, পোস্ত ও সরষের যে মাপ দেওয়া হল তা একটা মাঝারি সাইজের কপি অথবা ২৫০ গ্রাম পটলের জন্যে যদি ওজনের তারতম্য হয় সেই অনুযায়ী পরিমাণ বাড়াতে অথবা কমাতে হবে।)

চিংড়ি মাছ না দিয়ে একইভাবে নিরামিষ ঝোলও খুব ভাল হয়। এতে পাঁচফোড়নের সঙ্গে অল্প হিং দিতে হবে আর মাছের বদলে বড়ি ভেজে নামানোর আগে দিলে খেতে খুব সুস্বাদু হয়।