ঘি-ভাত

ঘি-ভাত

ভাল পুরানো আতপ চাল এক কেজি। ভাল পুরানো না হলে ঘিভাত ধরনের রান্না করা যায় না। বাসমতি কিংবা গোবিন্দভোগ হলে ভাল। পেশোয়ারী আতপ হলে খুব ভাল। ঘি ২০০ গ্রাম। এখনকার দিনে বাদাম তেল দিয়েই ঘি-এর কাজ চালানো হয়। খুব সামান্য হলুদ (না দিলেও চলে), নুন, চিনি ১০০ গ্রাম, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ছয় সাতটা, গরম মশলা (১০টা এলাচ, ১০টা লবঙ্গ সম পরিমাণ দারুচিনি) গুঁড়ো।

জলের একটা মাপ আছে। ধোয়ার আগে চালটা ঠিক তিন ভাগে ভাগ করে একটা পাত্রে ভর্তি করুন। অর্থাৎ ঐ একের তিন ভাগ চাল যে পাত্রে ভর্তি হবে, সেই পাত্রের পাঁচ পাত্র জল আলাদা করে রাখুন।

প্রণালী – চাল ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। কাগজের উপর খানিকক্ষণ ছড়িয়ে রাখলে শুকিয়ে যাবে তাতে ভাল হয়। এবার ঐ চালে হলুদ (যদি না দেন দিতে হবে না) নুন, আদা বাটা, গরম মশলার গুঁড়ো মেখে রাখুন।

যদি কিস্‌মিস্‌, কাজুবাদাম দেন তাহলে কিস্‌মিস্‌ ধুয়ে আর কাজুবাদাম কুচিয়ে রাখুন। কুকারে তেল চড়ান। তেজপাতা আর কাজু বাদাম কুচো ছাড়ুন। কাজুবাদাম একটু ভেজেই মশলা মাখানো চাল ছাড়ুন। একটুক্ষণ ভাজুন, চাল ভাজাভাজা হলে কিস্‌মিস্‌, চিনি আর জল দিন। জল গরম করে দিলে ভাল হয়। নেড়েচেড়ে কুকার বন্ধ করুন। স্টিম হওয়ার পর ঘড়ি দেখে তিন মিনিট গ্যাসে রেখে গ্যাস নিভিয়ে দিন। স্টিম হওয়ার এক মিনিট পরে আঁচ কমিয়ে দিন। পুরো ঠান্ডা হওয়ার আগে জোর করে খুলবেন না।

একবারে কোনো কুকারে এক কেজি চাল রান্না করা যায় না। তাই কম চাল নিয়ে পরিমাণ ঠিক করে নিতে হবে। আর যদি এক সঙ্গে হাঁড়িতে রাঁধেন তাহলে পাঁচ পাত্র জলের বদলে সাড়ে পাঁচ পাত্র জল দিতে হবে।

চাল ঝরঝরে করে ঘিভাতের মতো রান্নার মূল পদ্ধতি একই রকম। যে ভাবে জলের মাপ বা রান্নার উপায় লিখেছি ঠিক সেই ভাবে পোলাও বলুন বা বিরিয়ানীই বলুন মূল পদ্ধতি একই। শুধু মশলা বিভিন্ন রকম।