চালকুমড়োর ঘণ্ট

চালকুমড়োর ঘণ্ট

এতে চালকুমড়ো ছাড়া অন্য আনাজ লাগে না। নারকেল দরকার চালকুমড়োর পরিমাণ বুঝে। এ ছাড়া ধনে, জিরে এবং লঙ্কা গুঁড়ো ও তেল, নুন, চিনি। ১ চা চামচ ময়দা, ১ চা চামচ ঘি, ১ চা চামচ জিরে, দুটো তেজপাতা।

চালকুমড়ো কোটার পর যদি এক কেজি জল ধরে এমন পাত্র ভর্তি হয় তা হলে ধনে ও জিরে বাটা (একসঙ্গে মিশিয়ে ১ চা চামচ), তেল ১ টেবিল চামচ, চিনি ২ চা চামচ, নারকেল কোরা ১/২ মালা।

প্রণালী – চালকুমড়ো খুব সরু সরু করে কুরে রাখতে হবে। আজকাল প্লাস্টিকের আনাজ কোটা ও কোরার জন্য এক রকম যন্ত্র বেরিয়েছে তার সাহায্য নেওয়াই ভাল। নারকেল কুরনি দিয়ে নারকেলও কুরে রাখতে হবে আলাদা আলাদা পাত্রে। চালকুমড়ো কোরার পর নুন দিয়ে চটকে নিতে হবে এবং চটকানোর পর এতে যে জল জাতীয় তরল পদার্থ বেরোবে তা ফেলে দিতে হবে। এর পর কড়ায় কিংবা প্রেসার কুকারে চালকুমড়ো সিদ্ধ করে নিন এবং সিদ্ধ জিনিসটা আলাদা পাত্রে রাখুন।

এরপর কড়া পরিষ্কার করে উনুনে বসিয়ে গরম করে নিন যাতে ভিতরে জল না থাকে এবং তারপর তেল দিন। তেল গরম হলে জিরে ও তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে সিদ্ধ চালকুমড়ো কড়ায় ছেড়ে দিন। এই সময় ধনে এবং জিরে বাটা, লঙ্কা বাটা (যে যার নিজের রুচি অনুযায়ী) নুন, চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। বেশ ভাল করে কষা হলে অন্য পাত্রে ঢেলে রাখুন। এবার আবার কড়াটা ধুয়ে নিয়ে উনুনে গরম করে জল শুকিয়ে নিয়ে ঘি ছাড়ুন এবং ঘি গরম হলে ময়দা ছেড়ে ভেজে নিন। একটু লাল হলে সিদ্ধ করা চালকুমড়ো ওতে ঢেলে দিন এবং নারকেল কোরার আর্ধেকটা এতে মিশিয়ে দিয়ে নাড়তে থাকুন। বেশ ভালভাবে নাড়াচাড়া করার পর নামিয়ে রাখুন। ঠান্ডা হয়ে গেলে বাকি নারকেল কোরাটা তরকারির ওপর ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।