কচি মুলো শাক হলে ভাজা খেতে মন্দ লাগে না। অল্প নারকেল কোরা দিলে মুখরোচক হয়। প্রথমে খুব ভাল করে কুচোনো মুলো শাক নুনসব তরকারি রান্নাতেই নুন দেওয়া একান্তই দরকার। পরিমাণ মতো নুন রান্নার প্রথমের দিকেই দেওয়া উচিত, তাতে সমস্ত আনাজ তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়। More দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। এবার কড়ায় পরিমাণ বুঝে দু একটা শুকনো লঙ্কা ফোড়নফোড়ন মানে রান্নায় সুগন্ধ আনার জন্যে ব্যবহৃত মশলা। রান্নার প্রথমে ফোড়ন দেওয়া মানে, প্রথমে কড়ায় অল্প তেল দিয়ে মশলা অল্প গরম তেলের উপর ছড়িয়ে দিতে হয়। পরিমাণ এই রকম হবে - এক কিলো জল ধরে এমন পাত্র ভর্তি রান্না হলে এক চা চামচের পরিমাণ মশলা লাগবে। তেল গরম হলে মশলা ছেড়ে একটু ভেজে নেওয়াকে ফোড়ন দেওয়া বলে। এর পরেই প্রয়োজনীয় আনাজ (আনাজ মানে কাটা সবজি) ছাড়তে হয়। More দিয়ে নারকেল কোরা গরম তেলে ছাড়ুন। নারকেল কোরা একটু ভাজা ভাজা হয়ে এলে সিদ্ধ মুলো শাক ছাড়ুন। অল্প চিনিঅধিকাংশ তরকারিতে মিষ্টতা আনতে চিনি দিতে হয় কিন্তু যদি আনাজ পর্যাপ্ত পরিমাণে সিদ্ধ হওয়া আগে চিনি দিয়ে দেওয়া হয় তখন আনাজ আর সিদ্ধ হতে চায় না। সুতরাং এটা মনে রাখা দরকার তরকারিতে যদি মিষ্টতা আনার দরকার হয় তা হলে আনাজ সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পরই চিনি দিতে হয়। More দিয়ে নাড়াচাড়া করে শুকিয়ে নিন। ব্যাস, রান্না শেষ। কড়া নামিয়ে রাখুন। যে পরিমাণ শাক ভাজার জন্যে নেওয়া হয় ভাজার পর তা অনেকাংশে কমে যায়। মুলো শাক আর্ধেক হয়ে যায়। সেই বুঝে নুনসব তরকারি রান্নাতেই নুন দেওয়া একান্তই দরকার। পরিমাণ মতো নুন রান্নার প্রথমের দিকেই দেওয়া উচিত, তাতে সমস্ত আনাজ তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়। More ও ঝাল দেওয়া ভাল, নাহলে রান্নায় নুন-ঝাল বেশি হয়ে যেতে পারে।