স্টু যদিও ভারতীয় রান্না নয়, এখন খেতে ভাল, সহজপাচ্য বলে বাঙালীর রান্নাঘরে স্থান করে নিয়েছে। স্টু অনেক রকম হয়। সাধারণত শীতের আনাজেই স্টু ভাল হয়।
ফুলকপি, আলু, গাজর পেঁয়াজ সমান পরিমাণে বড় বড় টুকরো করে কেটে নিন। যদি ছোট একটা ফুলকপি হয়, কাটলে তার প্রায় সমান মাপের আলু, গাজর, পেঁয়াজ নিন। বিট দেবেন না, দেখতে খারাপ হয়ে যায়। ছোট একটা নারকেল, ছোট একটা রসুন, একটা দুটো কাঁচালঙ্কা যে যেমন ঝাল চান। তবে স্টু ঝাল না লাগলেই ভাল। তাই একটা দুটো লঙ্কা হলেই চলে। নারকেল আর রসুন বড় হলে আধখানা দিলেই চলে। একটা টমাটো, নুনসব তরকারি রান্নাতেই নুন দেওয়া একান্তই দরকার। পরিমাণ মতো নুন রান্নার প্রথমের দিকেই দেওয়া উচিত, তাতে সমস্ত আনাজ তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়। More, অল্প চিনি। মাখন (ঘি নয়) তিন টেবিল চামচ। অল্প গোলমরিচ গুঁড়ো।
প্রণালী – আলু, কপি, গাজর, পেঁয়াজ, রসুন, টমাটো, কাঁচালঙ্কা সব এক সঙ্গে নুনসব তরকারি রান্নাতেই নুন দেওয়া একান্তই দরকার। পরিমাণ মতো নুন রান্নার প্রথমের দিকেই দেওয়া উচিত, তাতে সমস্ত আনাজ তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়। More দিয়ে সিদ্ধ করুন। সিদ্ধ কুকারে না করে সাধারণ কোনো ঢাকা দেওয়া পাত্রে করলে ভাল। এই সময়ে টমাটো আস্ত দেবেন। সবকিছু সিদ্ধ হলে টমাটো ঘেঁটে দেবেন। অল্প চিনিঅধিকাংশ তরকারিতে মিষ্টতা আনতে চিনি দিতে হয় কিন্তু যদি আনাজ পর্যাপ্ত পরিমাণে সিদ্ধ হওয়া আগে চিনি দিয়ে দেওয়া হয় তখন আনাজ আর সিদ্ধ হতে চায় না। সুতরাং এটা মনে রাখা দরকার তরকারিতে যদি মিষ্টতা আনার দরকার হয় তা হলে আনাজ সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পরই চিনি দিতে হয়। More দিন। সিদ্ধ করার সময় জল এমন পরিমাণে দেবেন যাতে করে আনাজ সিদ্ধ হওযার পর জল বিশেষ না থাকে। আর আনাজগুলো খুব যেন ঘেঁটে না যায় অথচ ভাল সিদ্ধ হবে।
যখন আনাজ সিদ্ধ হবে তখন নারকেল কুরে দুধ বার করে রাখুন। স্টু সিদ্ধ হয়ে গেলে নারকেল দুধনারকেল দুধ তৈরি করতে নারকেল কুরে নারকেল জলে ফেলে রাখুন। এরপর নারকেল কোরাগুলো খুব করে চটকালে তা থেকে সাদা রস বেরিয়ে জলে মিশে যায়। যেহেতু জলের রং সাদা দুধের মতো হয়ে যায় তাই এটাকে নারকেলের দুধ বলে। এবার নারকেল জল থেকে নারকেল কুচোগুলো তুলে গরম জলে ফেলুন এবং আবার চটকাতে থাকুন দেখবেন এই জলটাও কিছুটা সাদা হয়ে যাবে। সব সাদা জল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এটাকেই নারকেলের দুধ বলে। More দিয়ে সামান্য একটু ফুটিয়ে নামান। এবার যখনই পরিবেশন করবেন স্টু বেশ গরম করে মাখন দিয়ে পরিবেশন করুন। সামনে গোলমরিচের পাত্রে গোলমরিচ গুঁড়ো থাকবে, যার যেমন ইচ্ছে মরিচ দিয়ে নেবেন। মাখন খুব কম দিলে ভাল লাগে না। এক এক জনের পাত্রে অন্তত এক চা-চামচ মাখন দেবেন। টমাটো না দিলে খুব খারাপ লাগে না।