অর্থাৎ ভাত ভাজা। এতে নানান রকমের শীতের আনাজ, ডিম, চিংড়ি মাছ দিলে ভাল হয়। যে যা দিয়ে করতে চান তাই দিলেই ভাল হবে। আলু পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা ঝাল বুঝে সব সময়েই দেওয়া হয়। শীতের সময়ে ফুলকপি ছোট ছোট করে কাটা, কড়াইশুঁটি, গাজর ইত্যাদি দেওয়া যায়। ডিম ভাজা, চিংড়িমাছ ভাজা সব সময়েই দেওয়া যায়।
উপরে যে সব আনাজের কথা বললাম সবই নুনসব তরকারি রান্নাতেই নুন দেওয়া একান্তই দরকার। পরিমাণ মতো নুন রান্নার প্রথমের দিকেই দেওয়া উচিত, তাতে সমস্ত আনাজ তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়। More দিয়ে ভেজে রেখে দিতে হবে। সবই ছোট ছোট করে কেটে ভাজতে হবে।
এবার ভাতের কথা। যতটা চাল রাঁধতে চান, সেটাকে ভাত করে নিন। দেখবেন যেন বেশি নরম হয়ে না যায়। যখন ভাত নামিয়ে ফেন গালবেন তখন একটু ঠান্ডা জল দিলে ভাত গায়ে গায়ে লেগে যাবে না।
যে কোনো ধরনের ভাল পুরানো আলো চাল হলেই চলে। পুরানো বলছি কারণ চাল নতুন হলে বড্ড তাড়াতাড়ি গলে যায়। ঝর্ঝরে করে রান্ননা করা যায় না। সাধারণ ভাতের বেলায়ও এই কথা বলা চলে।
এবার কড়ায় অল্প বাদামতেল বা ঘি দিয়ে গরম করতে হবে। এখানে বলে রাখি চাল যদি ৫০০ গ্রাম হয় তাহলে ১০০ গ্রাম তেলতেল রান্নার একটা অবশ্য প্রয়োজনীয় উপাদান। রান্নার তেল অনেক রকম হয় যেমন সরষের তেল, বাদাম তেল, সূর্যমুখীর তেল, সোয়াবিনের তেল, রাইসঅয়েল। সরষের তেল ছাড়া অন্য তেলগুলিতে রং বা গন্ধ বিশেষ থাকে না। তাই কোনো বিশেষ রান্না ছাড়া সব রান্নাতে সাদা তেলই ভাল। বর্তমানে স্বাস্থ্যের কারণে ঘি-এর বদলে এই সাদা তেলই ব্যবহার হচ্ছে। More দিতে হবে। সামান্য একটু কম হলেও চলে, বেশি ভাল লাগে না। তেলে দু-একটা তেজপাতা গরম মশলাছোট এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি এই তিনটি মশলা এক সঙ্গে হয় গরম মশলা। এটিও রান্নায় গন্ধ আনে। রান্নার শেষের দিকে এই তিন রকম মশলা বেটে কিম্বা শুকনো গুঁড়ো করে দিতে হয়। তারপর সমস্ত রান্নার জিনিস ভাল করে নাড়াচাড়া করে মিশিয়ে দিতে হয়। এর পরেই রান্নাটি শেষ করা হয়। রান্না অনুযায়ী পরিমাণ ঠিক করা হয়। More গুঁড়ো ফোড়নফোড়ন মানে রান্নায় সুগন্ধ আনার জন্যে ব্যবহৃত মশলা। রান্নার প্রথমে ফোড়ন দেওয়া মানে, প্রথমে কড়ায় অল্প তেল দিয়ে মশলা অল্প গরম তেলের উপর ছড়িয়ে দিতে হয়। পরিমাণ এই রকম হবে - এক কিলো জল ধরে এমন পাত্র ভর্তি রান্না হলে এক চা চামচের পরিমাণ মশলা লাগবে। তেল গরম হলে মশলা ছেড়ে একটু ভেজে নেওয়াকে ফোড়ন দেওয়া বলে। এর পরেই প্রয়োজনীয় আনাজ (আনাজ মানে কাটা সবজি) ছাড়তে হয়। More দিয়ে ভাত ছাড়ুন। সামান্য নুনসব তরকারি রান্নাতেই নুন দেওয়া একান্তই দরকার। পরিমাণ মতো নুন রান্নার প্রথমের দিকেই দেওয়া উচিত, তাতে সমস্ত আনাজ তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়। More দিয়ে নাড়াচাড়া করে ভাজুন। এতে চিনিঅধিকাংশ তরকারিতে মিষ্টতা আনতে চিনি দিতে হয় কিন্তু যদি আনাজ পর্যাপ্ত পরিমাণে সিদ্ধ হওয়া আগে চিনি দিয়ে দেওয়া হয় তখন আনাজ আর সিদ্ধ হতে চায় না। সুতরাং এটা মনে রাখা দরকার তরকারিতে যদি মিষ্টতা আনার দরকার হয় তা হলে আনাজ সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পরই চিনি দিতে হয়। More দেয় না তবে যাঁরা ভালবাসেন তাঁরা অল্প চিনিঅধিকাংশ তরকারিতে মিষ্টতা আনতে চিনি দিতে হয় কিন্তু যদি আনাজ পর্যাপ্ত পরিমাণে সিদ্ধ হওয়া আগে চিনি দিয়ে দেওয়া হয় তখন আনাজ আর সিদ্ধ হতে চায় না। সুতরাং এটা মনে রাখা দরকার তরকারিতে যদি মিষ্টতা আনার দরকার হয় তা হলে আনাজ সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পরই চিনি দিতে হয়। More দেবেন। ভাত ভাজা হলে আলু, পেঁয়াজ যা যা ভাজা আছে সব মিশিয়ে দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।