থোড়ে, আলু, কুমড়ো দিয়ে চচ্চড়ি রান্না হয়। এতে নুনসব তরকারি রান্নাতেই নুন দেওয়া একান্তই দরকার। পরিমাণ মতো নুন রান্নার প্রথমের দিকেই দেওয়া উচিত, তাতে সমস্ত আনাজ তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়। More মিষ্টি ঝাল, সরর্ষে বাটা আর সরষের তেলতেল রান্নার একটা অবশ্য প্রয়োজনীয় উপাদান। রান্নার তেল অনেক রকম হয় যেমন সরষের তেল, বাদাম তেল, সূর্যমুখীর তেল, সোয়াবিনের তেল, রাইসঅয়েল। সরষের তেল ছাড়া অন্য তেলগুলিতে রং বা গন্ধ বিশেষ থাকে না। তাই কোনো বিশেষ রান্না ছাড়া সব রান্নাতে সাদা তেলই ভাল। বর্তমানে স্বাস্থ্যের কারণে ঘি-এর বদলে এই সাদা তেলই ব্যবহার হচ্ছে। More লাগে। পাঁচ ফোড়নফোড়ন মানে রান্নায় সুগন্ধ আনার জন্যে ব্যবহৃত মশলা। রান্নার প্রথমে ফোড়ন দেওয়া মানে, প্রথমে কড়ায় অল্প তেল দিয়ে মশলা অল্প গরম তেলের উপর ছড়িয়ে দিতে হয়। পরিমাণ এই রকম হবে - এক কিলো জল ধরে এমন পাত্র ভর্তি রান্না হলে এক চা চামচের পরিমাণ মশলা লাগবে। তেল গরম হলে মশলা ছেড়ে একটু ভেজে নেওয়াকে ফোড়ন দেওয়া বলে। এর পরেই প্রয়োজনীয় আনাজ (আনাজ মানে কাটা সবজি) ছাড়তে হয়। More অল্প।
প্রণালী:- থোড় কুটলে পরিমাণে যতখানি হবে তার অর্ধেক পরিমাণ আলু আর অর্ধেক পরিমাণ মিষ্টি কুমড়ো দরকার। এখানে প্রথমে থোড় সরু সরু করে কেটে ভিজিয়ে রাখুন। এই সময় কড়ায় তেলতেল রান্নার একটা অবশ্য প্রয়োজনীয় উপাদান। রান্নার তেল অনেক রকম হয় যেমন সরষের তেল, বাদাম তেল, সূর্যমুখীর তেল, সোয়াবিনের তেল, রাইসঅয়েল। সরষের তেল ছাড়া অন্য তেলগুলিতে রং বা গন্ধ বিশেষ থাকে না। তাই কোনো বিশেষ রান্না ছাড়া সব রান্নাতে সাদা তেলই ভাল। বর্তমানে স্বাস্থ্যের কারণে ঘি-এর বদলে এই সাদা তেলই ব্যবহার হচ্ছে। More দিয়ে পাঁচফোড়নমেথি, মৌরি, কালোজিরা, সরষে, রাঁধুনি এই পাঁচ রকম মশলা মিশিয়ে পাঁচ ফোড়ন হয়। পাঁচ রকম মশলাই সমপরিমাণে মেশাতে হয়। এই মশলাগুলো কখনও কখনও আলাদাভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। Moreটা ভেজে নিয়ে প্রথমে আলু (ছোট ছোট করে কোটা) ছেড়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিয়ে তার পর কুমড়ো (ছোট ছোট করে কাটা) কড়ায় ছেড়ে দুটোই কিছুক্ষণ ভেজে নিন। একটু ভাজা ভাজা হলে হলুদহলুদ বাঙালির রান্নার একটি প্রধান মশলা। শরীরের পক্ষে খুবই উপকারি। রান্নার সময় হলুদ প্রথমের দিকেই দিতে হয়। প্রথমে দিতে ভুলে গিয়ে নামানোর আগে মনে পড়ে গেল আর তখনই একটু হলুদ দিয়ে দিলাম সেটা খুব মুশকিলের কারণ তখন সব রান্নাটাই খারাপ হয়ে যায়। More আর লঙ্কা গুঁড়ো পরিমাণ মতো দিয়ে মিশিয়ে দিন এবং কিছুক্ষণ কষে নিন। এরপর সোডা দেওয়া থোড় হাতের তালুতে চেপে নিয়ে কড়ায় ছেড়ে দিন। এই সময় পরিমাণ মতো নুনসব তরকারি রান্নাতেই নুন দেওয়া একান্তই দরকার। পরিমাণ মতো নুন রান্নার প্রথমের দিকেই দেওয়া উচিত, তাতে সমস্ত আনাজ তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়। More দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। এতে জল সাধারণত লাগে না। সিদ্ধ হতে যা জল লাগে তা থোড় থেকেই বেরিয়ে আসে তবে যদি খুব শুকনো মনে হয় তো অল্প জল দিতে পারেন। সিদ্ধ হল কিনা মাঝে মাঝে ঢাকা খুলে দেখে নিন এবং এই সময় তলা নেড়ে দেবেন তাতে ধরে যাওয়ার ভয় থাকবে না। সিদ্ধ হয়ে গেলে মিষ্টি ও সর্ষে বাটা দিয়ে ভাল করে নাড়তে হবে। শুকনো হয়ে গেলে নামিয়ে রাখুন।
নারকোল কুচো (কোরা নয়) ও ছোট ছোট চৌকা চৌকা করে কোটা আলু দিয়ে মোচার ডালনার মতো থোড়ের ডালনাও রান্না করা যায়। খেতে মন্দ লাগে না।