ছানার ডালনা

ছানার ডালনা

ছানার ডালনা দু রকম ভাবে করা যায় (১) ছানাটাকে চাপ দিয়ে শক্ত হয়ে গেলে ছোট ছোট করে ছুরি দিয়ে কেটে নিয়ে বেলে ভেজে রাখতে হয়। (২) ছানা কাটানোর পর একটু ঠাণ্ডা হলে জল ঝরিয়ে নিতে হবে। তার পর এতে নুন, চিনি, আদা কাঁচা লঙ্কা বাটা ও অল্প ময়দা (বাঁধনের জন্য) দিয়ে ভাল করে  মেখে নিন। হাতের তালুর সাহায্যে ছোট ছোট গোল গোল একটু চ্যাপটা করে গড়ে নিন এবং সেগুলো তেলে ভেজে আলাদা করে  রাখুন।

উপকরণ:- উপরের ছানা যদি ৫০০ গ্রাম হয় আলুও ৫০০ গ্রাম নিয়ে ছোট ছোট করে  কেটে ধুয়ে রাখুন। এ ছাড়া নারকোল ১/২ মালা নিয়ে কুরে রাখুন। নারকোল না দিয়েও রান্না করা যায় তবে দিলে স্বাদ অত্যন্ত ভাল হয়। ২ নং এ যে ভাবে ছানার সঙ্গে মশলা মেশানো হয় তাতে মশলা লাগবে:- অল্প হলুদ, আদা বাটা, কাঁচালঙ্কা বাটা, জিরে বাটা, নুন, চিনি, গরম মশলা বাটা আর ফোড়নের জন্য আস্ত জিরে অল্প ও ২/৩ টা তেজপাতা রান্নার জন্য তেল ও অল্প ঘি।

রান্নার প্রণালী:- প্রথমেই কীভাবে নারকোলের দুধ তৈরি করতে হয় তা বলে রাখি।

নারকোল কোরার পর নারকোল ভাঙার পর নারকোলের যে জল বেরোয়, সেই জলে ভিজিয়ে রাখতে হয় এবং কিছুক্ষণ বাদে ভাল করে  চটকালে নারকোল কোরার মধ্যে যে সাদা রস থাকে তা নিংড়ে বার করে  নারকোল কোরা আলাদা জলে ফেলে রাখতে হয়। এই জলটা গরম হলে ভাল হয়। এখানেও খুব করে  চট্‌কে নিয়ে হাতের চাপে নিংড়ে নিলে জলে নারকোলের সাদা দুধের মতো জিনিষ বেরিয়ে আসে। এই প্রক্রিয়া ২/৩ বার করলে পুরো দুধ বেরিয়ে আসে। এই সাদা জলীয় পদার্থকে নারকোলের দুধ বলে।

এই ভাবে নারকোলের দুধ বার করে  একটা পাত্রে রেখে দিন।

এবার কড়ায় তেল দিয়ে জিরে ও তেজপাতা ভেজে নিন। ছোট ছোট চৌকা চৌকা করে  কোটা আলু এতে ছেড়ে দিন। নুন পরিমাণ মতো দিয়ে ভাজতে থাকুন এবং আধ ভাজা হলে হলুদ, খুব কম পরিমাণ আদা, জিরে ও কাঁচালঙ্কা বাটা দিয়ে ভাল করে  কষে নিন। কষা হয়ে গেলে জল দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। এমন ভাবে জল দেবেন যাতে আলু সিদ্ধ হয়ে গেলে জল বেশি না থাকে। আলু সিদ্ধ হয়ে গেলে চিনি, ঘি, গরম মশলা আর নারকোল দুধ দিয়ে দিন। সবটা ভাল করে  ফুটে গেলে ভাজা ছানার গোলা গুলো কড়ায় দিয়ে অল্পক্ষণ ফুটতে দিন। এই সময় বেশি নাড়ানাড়ি না করাই ভাল, তাতে ছানার গোলাগুলো ভেঙে যেতে পারে। যেখানে নারকোলের দুধ দেওয়া হবে না সেখানে জলের পরিমাণ এমন দেবেন যাতে ছানার ডেলাগুলো কিছুক্ষণ থাকলে যেন শেষ পর্যন্ত অল্প জল থাকে; একেবারে শুকিয়ে না যায়।