মাছ পটলের দোলমা

মাছ পটলের দোলমা

উপকরণ – ভাল বড় সাইজের পটল, মাছের পুর, ভাজার জন্য ২৫০ গ্রাম মতো তেল

মাছের পুরের কথা আগে বলেছি। এখানে দশটা পটলের মধ্যে পুরতে হবে এমন পরিমাণ পুর লাগবে। পটলের সাইজ যদি ভাল বড় হয় তাহলে পাঁচশো মতো মাছের পুর লাগবে। মাছের পুর কীভাবে হবে তা আর লিখলাম না। কাই করার জন্য এক চা চামচ হলুদ, নুন, পেঁয়াজ বাটা ১০০ গ্রাম, আদা বাটা এক চা চামচ, জিরে বাটা এক চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ, একটা টমেটো অথবা অল্প দই, চিনি এক চা চামচ, ফোড়নের জন্য আধ চা চামচ জিরে, দু তিনটে তেজপাতা।

প্রণালী – পটলগুলোর উপরের সবুজ অংশ চেঁছে নিতে হবে। খোসা ছাড়াবেন না, শুধু উপরটা চেঁছে রাখুন। দুটো মাথা অল্প করে কেটে নিন। এবার কোনো কাঁটা দিয়ে সাবধানে পটলের এক মাথা থেকে ভিতরের বিচি সব বার করে নিন। বিচি বার হয়ে গেলে, পটলের গায়ে কাঁটা দিয়ে দশ বারোটা ফুটো করে দিন। এইভাবে সব পটল চেঁছে, বিচি বার করে ফুটো করা হয়ে গেলে ধুয়ে নুন মাখিয়ে রাখুন।

এবার কড়ায় তেল গরম করে পটলগুলো ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে পটলগুলোর মধ্যে আগে তৈরি করে রাখা মাছের পুর ভরুন। খুব ঠেসে ভরবেন না আবার একদম খালি ভাবেও ভরবেন না। দোলমা হয়ে গেল। ভাজা অবস্থায় পরিবেশন করা যায়। আবার কাই করে তাতে দিয়ে রান্না করলে ভাল লাগে।

পটল ভাজলে তেল বড় কালো হয়ে যায়। যদি রান্না দেখতে সুন্দর করতে চান তাহলে, পটল ভাজা তেল বাদ দিয়ে পরিষ্কার তেল দিয়ে কড়া চড়ান। যদি সাশ্রয় করতে চান তাহলে ঐ তেল দিয়েই কাই রান্না করতে পারেন, দেখতে একটু কালো হবে কিন্তু খেতে খারাপ হবে না।

কড়ার তেলে জিরে, তেজপাতা, ফোড়ন দিয়ে প্রথমে চিনি তারপরে আদা দিয়ে একটু নেড়ে বাকি মশলা দিয়ে কষুন। চিনি ভেজে নিলে রঙটা সুন্দর হয়। যাইহোক মশলা দই, নুন, চিনি ইত্যাদি কষা হলে অল্প জল দিন। জল ফুটলে পুর ভরা পটল আর গরম মশলা দিয়ে অল্পক্ষণ ফুটিয়ে নামান।